কুতুবদিয়ায় চুরির উপদ্রপ আশঙ্কাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে

কুতুবদিয়ায় চুরির উপদ্রপ আশঙ্কাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত এক সপ্তার মধ্যে উপজেলা সদর বড়ঘোপে ৪/৫টি ঘর-দোকান চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাতেনাতে চোর ধৃত করে জেলে দিলেও চুরির মাত্রা কিছুতেই কমছেনা।
শুক্রবার গভীর রাতে একদল চোর শিঙ্গগর্ত করে বড়ঘোপের রোমাই পাড়ার আজিজুল হক’র পুত্র আবদুল মালেক’র ঘরে হানা দিয়ে নগদ ৯০ হাজার টাকা, সাড়ে ৫ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ফিশিংবোটের মিশিনারী যন্ত্রপাতি নিয়ে গেছে। আশপাশের লোকজন টের পেয়ে স্থানীয় দিদারুল ইসলাম নামের এক চোরকে হাতেনাতে ধৃত করলে পুলিশ গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে যায় দাবী করে দু’সপ্তাহ আগেও একই বাড়ীতে চুরি সংঘটিত হয় বলে গৃহকর্তা আবদুল মালেক জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পশ্চিম আমজাখালীর মৃত ছালামত খান’র বসতঘরে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। চোরের দল ঘরের জানালার গ্রিল কেটে আলমিরায় রক্ষিত ৮ভরি স্বর্ণ, ২শ’ তোলা রুপা ও একটি মোবাইল সেট নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৬লাখ টাকা বলে জানান, সত্তরঊর্ধ গৃহকর্তা বৃদ্ধ মাজেদা বেগম। জানালার গ্রিল কাটা, তালা ভাঙ্গা আলমিরা এবং কাপড়-চোপড় ছিটানো-ছটানোর চিত্র সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে। এক সপ্তাহ আগেও একই এলাকার প্রতিবেশী বদিউল আলম মাঝির বসতঘর ও বড়ঘোপ বাজারের মেসার্স আলহাজ্ব আল-বেলা ক্লথ ষ্টোরে চুরি সংঘটিত হয়। এ সময় সোহেল নামের এক চোরকে হাতেনাতে ধৃত করে শ্রীঘরে প্রেরণ করা হয় বলে জানা গেছে। এ নিয়ে মামলা ও জিড়ি হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন স্থানীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাকের উল্লাহ, মেম্বার নাছির উদ্দিন ও মুহম্মদ হোছাইন প্রকাশ বাদশাহ্ বহদ্দার।